সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফ্যাসিস্ট আ.লীগের নেতা মোঃ কামরুল ইসলাম নান্টুর রাজধানী ঢাকায় আবাসিক হোটেলের নামে অবৈধ পতিতা, মাদক ও অস্ত্রের রমরমা ব্যবসা। কালের খবর শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করতে হবে : আ ন ম শামসুল ইসলাম। কালের খবর মাটিরাঙ্গায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে পৌর বিএনপি। কালের খবর অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা কপালপোড়া জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত। কালের খবর মাটিরাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে জামাল-মুকুট। কালের খবর তিল ধারণের ঠাঁই নেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কালের খবর আমতলীতে ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন। কালের খবর নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাব নির্বাচন সম্পন্ন : সালাম সভাপতি, ছনি সম্পাদক নির্বাচিত। কালের খবর সীতাকুণ্ডে জামায়াত নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ। কালের খবর আমাকে ও আমার মেয়েদের কুপ্রস্তাব দেয় রাজ্জাক। কালের খবর
সাদপন্থিদের কাকরাইল মসজিদে বৃহৎ জামাতে জুমা আদায়। কালের খবর

সাদপন্থিদের কাকরাইল মসজিদে বৃহৎ জামাতে জুমা আদায়। কালের খবর

 

রমনা প্রতিনিধি, কালের খবর : 

বড় জমায়েত নিয়ে কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদপন্থিরা। ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নামাজ শুরু হয়ে সাড়ে ১২টায় শেষ হয়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সাদপন্থিরা মসজিদ এলাকায় আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে তাদের জমায়েত অনেক বড় হয়। দুপুর ১২টার আগে হাজার হাজার লোকে পরিপূর্ণ হয়ে যায় কাকরাইল এলাকা। প্রধান সড়ক পার হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ছাড়িয়ে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে জুমা আদায় করেন মুসল্লিরা। নিরাপত্তার স্বার্থে কাকরাইল মসজিদের পাশে, রমনা ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যাওয়ার পথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

নামাজ শেষে মোনাজাতের পর অবস্থান ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান মুসল্লিরা। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করে কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের এলাকা।

দুপুর ১টার পর অবস্থান ছাড়তে শুরু করেন সাদপন্থিরা। এর আগে ১২টার আগে থেকেই নামাজের প্রস্তুতি নেন তারা।

সাদ অনুসারীদের এটিই হবে সব থেকে বড় জামায়াত- খুতবার বক্ত্যবে এমনটাই জানিয়েছিলেন কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম মুফতি মুহাম্মদ আযীমুদ্দিন। পরে নামাজ শেষে মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের অবস্থান ছেড়ে গন্তবে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এ সময় আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় ইমলামি সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের হযরতরা আসবেন সমাবেশে। আলোচনা হবে তাবলিগ জামায়াতের মেহনত ও সমসাময়িক বিষয়ে।

আজ সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদের সামনে অবস্থান নেন সাদপন্থিরা। সকাল ৮টার পরে মসজিদে প্রবেশ করেন তারা। এ সময় কাকরাইল মসজিদে সামনে থেকে বিচারপতির বাসভবন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও ভিআইপি সড়কসহ আশে পাশের বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় বসে পড়েন সাদ অনুসারীরা।

জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর দুপক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেদিন কাকরাইলে দুদল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। চরম বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় গত ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে জুবায়েরপন্থিরা চার সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

তবে মসজিদের অপর অংশ জুবায়েরপন্থিরা ১২ মাসই নিজেদের দখলে রাখেন। সাদপন্থিদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হেফাজত সমর্থিত জুবায়েরপন্থিরা বেশি সুবিধা ভোগ করে আসছেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ নিয়েও দুই পক্ষের বিরোধ দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com